কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার বছরে ১০৮ খুন

টেকনাফ-উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে গত চার বছরে ১০৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৭৮ জনকে অতর্কিতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ২২ জন। অপহরণের পর হত্যা দুজনকে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় খুন হন ৬ জন। বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কেবল খুনোখুনি নয়, অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে দিন দিন বাড়ছে বলে নানা পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। সর্বশেষ এআরএসপিএইচ চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার পর রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে।
বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরির (বিপিও) ‘রোহিঙ্গা শিবিরে নিরাপত্তা : সহিংসতার মাত্রা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত গত চার বছরের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে ১০৮ জন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন হালনাগাদ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গত আগস্ট পর্যন্ত হওয়ায় গত বুধবার আততায়ীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর নিহত হওয়ার তথ্য এতে যুক্ত হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ ‘পার্টনারশিপস ফর আ টলারেন্ট এন্ড ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেই প্রকল্পেরই একটি অংশ বিপিও।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা এ দেশে আসা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে প্রথম তিন বছরে প্রায় ১২ ধরনের অপরাধে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৭৩১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অনেকে জেলও খেটেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, মুহিবুল্লাহ ছিলেন সাধারণ রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর। তাঁর মতো যাঁরা অহিংস পন্থায় বা শান্তিপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চিন্তা করেন এবং তাঁরা যখন পুরো শিবিরে জনপ্রিয়তা পান, মানুষকে সংগঠিত করেন তখন আরসার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা উগ্র রাজনীতিতে বিশ্বাসীরা একধরনের হুমকি অনুভব করে।

পাঠকের মতামত: